এজেন্ট ব্যাংকিং কি, ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধাসমূহ কি কি?

                                                                                         

এজেন্ট ব্যাংকিং কি/What is agent banking?

এজেন্ট ব্যাংকিং হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত একটি নতুন ব্যাংকিং ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে প্রতিটি লেনদেন “বায়োমেট্রিক মেশিন” ব্যবহার করে গ্রাহকের আঙ্গুলের ছাপ সনাক্তকরণের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়।

 

 এজেন্ট ব্যাংকিং কতটুকু নিরাপদ/How safe is agent banking?

DBBL এজেন্ট ব্যাংকিং ১০০% নিরাপদ, কারণ এতে গ্রাহকের স্বাক্ষরের পাশাপাশি আঙ্গুলের ছাপ থাকবে। বায়োমেট্রিক মেশিন কর্তৃক গ্রাহকের আঙ্গুলের ছাপের সঠিকতা নির্ধারণের পরেই কেবল একাউন্টএ লেনদেন করা যাবে।

 

বায়োমেট্রিক একাউন্ট কি/What is Biometric Account?

DBBL অনুমোদিত এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট থেকে গ্রাহক তাঁর আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে যে একাউন্ট খোলেন তাকে বায়োমেট্রিক একাউন্ট বলা হয়।

 

DBBL-বায়োমেট্রিক একাউন্ট-এর সুবিধাসমূহ কী কী?

“বায়োমেট্রিক মেশিন ব্যবহার করে গ্রাহকের আঙ্গুলের ছাপ সনাক্তকরণের মাধ্যমে ১০০% নিরাপদ লেনদেন ব্যবস্থা।

(১)প্রকৃত অনলাইন ব্যাংকিং সেবা যা দেশব্যাপী যে কোন সময় যে কোন স্থানে পাওয়া যাবে।

(২) জমাকৃত টাকার উপর মুনাফা লাভের সুবিধা। ৫ টাকা সঞ্চয়ের একটি অনন্য ব্যবস্থা।

(৩) বাৎসরিক চার্জ প্রযোজ্য নহে।

(৪) প্রথম বছরে ATM চার্জ ফ্রি।

(৫) ডেবিট কার্ড, যার মাধ্যমে গ্রাহক DBBL ফাস্ট ট্র্যাক ও DBBL ATM থেকে টাকা উত্তোলন এবং মার্চেন্ট দোকান থেকে কেনাকাটা করতে পারবেন।

(৬)DBBL অনুমোদিত যে কোন এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং যেকোন শাখায় লেনদেনের সুবিধা।

(৭)DBBL ফাস্ট ট্র্যাকে টাকা জমাদানের সুবিধা।

(৮) মার্চেন্ট পেমেন্ট।

 

আরও দেখুন-

                                             

DBBL এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কী কী সেবা পাওয়া যাবে?

(১)সঞ্চয়ী হিসাব খোলা।

(২)চলতি হিসাব খােলা

(৩)নগদ টাকা জমাদান/উত্তোলন ফিক্সড ডিপোজিট(FDR)

(৪)ডিপোজিট প্লাস স্কীম (DPS)।

(৫)বেতন/ভাতা প্রদান।

(৬)অন্য একাউন্ট-এ টাকা স্থানান্তর একাউন্ট ব্যালেন্স জানা

(৭)বিদেশ হতে প্রেরিত অর্থ গ্রহন বিল প্রদান।

 

কোথায় এজেন্ট ব্যাংকিং এর আওতায় বায়োমেট্রিক একাউন্ট খুলবেন?

 

DBBL মনোনীত যেকোন এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এ বায়োমেট্রিক একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।

 

বায়োমেট্রিক একাউন্ট রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো কী কী?

 

(১) পূরণকৃত KYC বা একাউন্ট খোলার ফরম (যা মনোনীত এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এ পাওয়া যাবে)।

(২)গ্রাহক ও নমিনির ছবি।

(৩)গ্রাহক ও নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা অন্য যে কোন ছবি সম্বলিত গ্রহণযোগ্য পরিচয়পত্র।

(৪)গ্রাহক ফাস্ট ট্র্যাক অফিসারের নিকট বায়োমেট্রিক একাউন্ট নম্বর এবং টাকা জমা দিবেন।

(৫)ফাস্ট ট্র্যাক অফিসার গ্রাহকের টাকা বুঝে নিয়ে গ্রাহকের সামনে একটি খামে টাকা ভরে খামটির মুখ বন্ধ করে খামটিতে স্বাক্ষর দিবেন এবং খামটিতে গ্রাহকের স্বাক্ষর নিবেন।

(৬)ফাস্ট ট্র্যাক অফিসার খামটি কিয়স্ক মেশিনে প্রবেশ করাবেন এবং গ্রাহককে মেশিন প্রদত্ত জমা রশিদ দিবেন।

(৭)পরবর্তীতে গ্রাহকের একাউন্টে টাকা জমা হওয়ার সাথে সাথে গ্রাহক তার মোবাইলে কনফারমেশন মেসেজ পাবেন।

 

পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ‘‘Facebook Page”  লাইক দিয়ে রাখুন।

 

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে

শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।